আরিফঃ
তুমিও কবি! ভালোই হলো।
কাব্য ভীষণ জমবে এবার
থালা-বাটি, যাদুর কাঠি,
সব নিয়ে নাও সঙ্গে তোমার
মাসুমঃ
ডাক শুনে তোর, পেছনে ফিরি,
ভীড় যে ভীষণ, হাতড়ে মরি।
খুঁজে খুঁজে আমি মিছে হয়রান কাব্যের পিছে ঘুরে,
ছেড়ে গেছে ঘর, লিখে গেছে চিঠি, “আসবো না আর ফিরে”……
আরিফঃ
মণ্ডা মিঠাই সক্কলে খায়, সবাই বানায়
অমৃত স্বাদ? ঠিক করে বল… ক’জনে পায়?
কাব্য’রা কি হারায় কভু? সত্যি জানিস?
ভিতরটাতে লুকিয়ে রেখে কেন মিছে হাতড়ে মরিস?
মাসুমঃ
এমনকি সূর্যকেও চাপা পড়তে হয়,
তাও কিনা সামান্য বাষ্পের আড়ালে।
অথবা ঘুমিয়ে পড়তে হয়,
রাতের অন্ধ বিষাদ কোলে।
জানি, অপেক্ষার প্রতিশব্দ বিজয়,
মেঘ হোক, কিংবা রাত,
কেটে যায়, কেটে যেতে হয়।
আরিফঃ
জানিস যদি থামিস কেন?
কাব্য ঝোলায় রাখনা পুরে
ছন্দ পেড়ে আনলি না হয়
‘বিশেষ জ্ঞানের’ পাখনা চুরে!
মাসুমঃ
কালিশূন্য কলম দিয়ে
শুধু আচঁড়ের দাগ ফোটে
আর কবিতার খাতা হয়ে ওঠে
খবরের কাগজের খুনোখুনির পাতা।
*******
রচনাকালঃ
২০১০ সালের জুলাই এর ১ তারিখ, বন্ধু শাহরিয়ার আরিফ, আমার ওয়ালে এই কথনের প্রথম অংশটুকু পোস্ট করে। এরপর কমেন্টে চলতে থাকে কথোপকথন।